বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী কম্পালাইন্সড এবং নিরাপদ সিকিউরিটি সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এতগুলো অর্থ লোনের নামে লুটপাট করা হলো এবং পাচার করা হলো তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এত এত মনিটরিং এবং চেক এন্ড ব্যালেন্স তারপরও লক্ষ কোটি ব্যাংকের লোন আজ ডিফল্ট অর্থাৎ খেলাফি ঋণে পরিনত হলো। একটা ব্যাংকের লোনতো আর কারো কথায় কিংবা এক ব্যাক্তির স্বাক্ষরে পাশ হয়না, এটা অনেকগুলো ধাপ বা প্রক্রিয়া পার করে পাশ হয়, এতে আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এক কথায় বলতে পারি, ব্যাংক কর্মকর্তারা ও এর দায় এড়াতে পারেনা। কর্মকতা বলতে কেউ যদি মনে করেন ফিল্ড লেভেলের অফিসার দায়ী তাহলে ভুল করবেন, ম্যানেজম্যান্ট লেভেল এর জন্যে শতভাগ দায়ী এবং জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা বুঝার জন্যে আমাদের রকেট সাইন্টিস্ট হওয়ার দরকার নেই, অনায়সে চোখ বন্ধ করে যে কেউ বলে দিতে পারেন।
আমরা শুধুমাত্র এস আলমের দিকে থাকালেই হবেনা এস আলমের মত আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ব্যাংক থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লোন নেয়ার পর ফেরত দেয়ার নাম গন্ধ কিংবা নিঃশ্বাস কোনটাই ফেলছেন না। এস আলম হাইলাইট’স হয়েছে কারন সে অতি রঞ্জিত করে ফেলেছে। এস আলম ছাড়া ও আপনারা হল মার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, এস এ গ্রুপ, নুর জাহান গ্রুপ, ফ্যাবিয়ান গ্রুপ, লুটাস কামাল গ্রুপ, আরো অনেক গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠান আছে সবাই কিন্তু এই কাজের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত। এর পেছনে অনেকগুলো মুখ্য কারন রয়েছে চেষ্টা করব, ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করতে, যাতে আমরা সাধারণ ব্যাংকের গ্রাহক যারা আছি, তারা সহজে বুঝতে পারি আমাদের শেষ ভরসা স্থল হিসাবে ব্যাংক কতটা নিরাপদ ?
ব্যাংক থেকে ঋণ কারিরা মুলতঃ দুই ধরনের ঋণ পেয়ে থাকে একটা বলা হয় ফান্ডেড, যেমন ধরুন ওভার ড্রাফট, এল টি আর, পেমেন্ট অর্ডার, ক্যাশ ক্রেডিট হাইপো এবং দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ। আরেকটাকে বলা হয় নন-ফান্ডেড যেমন ধরুন এল সি, এবং ব্যাংক গ্যারান্টি ইত্যাদি।
প্রতিটি কর্পোরেট এবং নন কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে উভয় ধরনের ফ্যাসিলিটিস প্রদান করা হয়ে থাকে। তাদেরকে ফান্ডেড এবং নন-ফান্ডেড মিলিয়ে একটা লিমিট দেয়া হয়ে থাকে, যেটার সর্বোচ্চ তারা (ঋণ গ্রহীতা) ব্যাবহার করতে পারে। যেই পেপারের মাধ্যমে এই সু্যোগটা দেয়া হয় তার নাম ব্যাংক স্যাঙ্কশন লেটার। এই স্যাঙ্কশন লেটার যাবতীয় টার্ম এন্ড কন্ডিশন লেখা থাকে, লেখা থাকে বিভিন্ন ক্লজ ও । প্রতিটি স্যাঙ্কশন পেপারে সিকিউরিটিস হিসাবে ল্যান্ড, শেয়ার, এফ ডি আর মর্টগেজ হিসাবে লিপিবদ্ধ থাকে, অনেক সময় অনেক কর্পোরেট গ্যারান্টর হিসাবে লিখা থাকে। এত কিছুর পর ও কিভাবে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে বছরের পর বছর ঋণ খেলাফী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থেকে যায়, সেটাই অনেক ভাববার বিষয়। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরষের মধ্যে ভুত আছে, আসলেই তাই।
ঋণ দেয়া পূর্বে অনেক খুটিনাটি বিষয়াদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়, বলতে পারেন অণুবীক্ষণ যন্ত্র লাগিয়ে পরীক্ষা করার মত। আপনি আমি সাধারন মানুষ যদি ঋণ এর জন্যে ব্যাংকে যাই এক ঝাটকায় আউট। লোন দেয়াতো দূরে থাক কথাও বলবে কিনা সন্দেহ। বিশ্বাস না হলে একবার গিয়ে দেখতে পারেন এবং সত্য বলছি কিনা সেটাও যাচাই হয়ে গেলো। এত এত কঠিন শর্তের বেড়াজালের পরও ওরা ঋণ পাচ্ছে এবং ফেরত না দিয়ে যথা সময়ে ঋণ খেলাফী ও হচ্ছে না। ব্যাপারটা অনেক মজার না? আসুন এই মজার বিষয় নিয়ে আজ আবারও একটু ছোট খাটো আলোচনা করি।
প্রথমতঃ ব্যাংক যে টাকাটা লোন দেয়, এটা ব্যাংকের টাকা না, এটা অন্যজনের টাকা। তাহলে অন্যের টাকা নয় ছয় করতে ব্যাংকের গায়ে লাগার কথা না। আরেকটু খোলাসা করে বলি? ধরুন ব্যাংকে আমরা সাধারন গ্রাহকরা চোর ডাকাতের ভয়ে তিল তিল করে না খেয়ে না পরে টাকা জমাই আর সেটা ভবিষ্যতের জন্যে ব্যাংকে জমা রাখি। ব্যাংক সে টাকা একীভূত করে কিছু অর্থ সিকিউরিটি হিসাবে রেখে অবশিষ্ট অর্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লোন দেয়। ধরুন ঋণ দিয়ে সুদ বাবদ পেলো ১৩% আর আপনাকে কিংবা আমাকে দিলো ৬%-৭%। বাকিটা ওদের আয়। যদিও ব্যাংকের এটা ছাড়াও অনেক আয়ের খাত আছে তবে এটা হলো মুখ্য আয়ের খাত।
এবার এত সুন্দর নান্দনিক ব্যাংকের শাখা অফিস, কর্পোরেট অফিস, প্রিন্সিপাল অফিস, আঞ্চলিক অফিস, এবং প্রধান অফিস ইত্যাদি এর অপারেটিং কষ্ট এবং হ্যান্ডশাম সেলারী এই সব ব্যাংক তার নিজের পকেট থেকে দেয় না। তাই তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে লাভ জনক অবস্থায় নিয়ে যেতে অনেক সময় বিভিন্ন সময় টার্গেট নিদ্ধারন করে দেয়া হয়ে থাকে, শুরু হয় ঔষধ কোম্পানির মত মার্কেটে ক্লাইন্ট সংগ্রহের প্রতিযোগিতা এবং পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে প্রমোশন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। এর সাথে যদি যোগ হয় মামার পিছন থেকে সাপোর্ট তাহলে কথায় নাই ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পি এল সি এর আকিজ, মেজবাহ ও মিফতাহদের মত রাতে দিনে প্রমোশন।
এবার আসুন ব্যাংকের এসব কর্মকান্ড দেখবাল করার জন্যে ওদের একজন মাতব্বর বা মুরব্বি আছেন, যাকে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে থাকি। এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর অনেক কাজের মধ্যে একটা কাজ হলো বাংলাদেশের সকল কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলোকে দেখে শুনে রাখা অর্থাৎ মনিটরিং করা। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে কি মনিটরিং করেছে তা আপনারা সবাই খুব ভালোভাবে অবগত আছেন।
এবার আসুন ব্যাংক ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে কি কি প্রসেস অনুসরন করে, তা একটু জেনে নিই, হয়তো আপনার ব্যাংক লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লেগে যেতে পারে।
[“এস আলম কিংবা অন্য যে সমস্ত কোম্পানি ব্যাংক লুটপাট এ জড়িত ছিলো তারা এটা একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে করেছে। এখন আমাদের দেখতে হবে কারা কারা এই সিস্টেমের এর সদস্য ছিলো এবং কিভাবে তারা এই জঘন্য কাজে একজন ব্যাংক ডাকাত কে সহযোগিতা করে ব্যাংক থেকে টাকা বের করতে কিংবা পাচার করতে। অন্তবর্তিকালিন সরকার প্রধান উপদেষ্টা যে বলেছেন, দেশের প্রতিটি সেক্টর পচে গেছে আসলে পচে গেছে। আসুন জেনে নেয়া যাক একটা ব্যাংক লোন কিভাবে পাশ হয়।“]
লোনের জন্য আবেদনঃ
একটা প্রতিষ্ঠান একটা ব্যাংক এর শাখা অফিসে লোনের জন্য আবেদন করবে। যে সমস্থ শাখা অফিস কিংবা কর্পোরেট অফিস লোন দেয়ার যোগ্যতা রাখে। তখন তাকে আবেদনের সাথে সাথে কিছু ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়। যেমন ট্রেড লাইসেন্স, ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট সার্টিফিকেট, অডিট রিপোর্ট, ল্যান্ড ভ্যালুয়েশন সার্ভে রিপোর্ট, ক্রেডিট রেটিং রিপোর্ট, সি আই বি রিপোর্ট এইসব মেন্ডাটরি। এই বার আসুন এইসব ক্ষেত্রে কে কি ভুমিকা পালন করেছে তা একটু দেখে নেই।
ট্রেড লাইসেন্সঃ
মুলত ট্রেড লাইসেন্স সরবরাহ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা সিটি করপোরেশন থেকে। এক্ষেত্রে দেখা যায় এমন অনেক প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়েছে যাদের কোন অস্তিত্বই নাই। এমনকি একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সাইনবোর্ড পর্যন্ত নাই এমন প্রতিষ্ঠানকেও ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ধরে নিলাম প্রথম বছর ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়েছে কোন কিছু ছাড়াই কিন্তু তারপর বছর এর পর বছর নবায়ন হলো কি করে? এই প্রশ্ন থেকেই যাই?
ইম্পোর্ট এবং এক্সপোর্ট সার্টিফিকেটঃ
এই দুইটা লাইসেন্স সবার জন্যে প্রযোজ্য নয়, মুলতঃ গার্মেন্টস বা অন্যান্য উৎপাদনশীল, অথবা যারা ট্রেডিং ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান যারা বিদেশ থেকে কাঁচামাল কিংবা পন্য আমদানি করবে তাদের জন্যে আমদানি সনদ বা ইম্পোর্ট সার্টিফিকেট প্রয়োজন। আর যারা পন্যে রপ্তানি করে তাদের জন্যে এক্সপোর্ট সার্টিফিকেট প্রয়োজন। দুইটা সার্টিফিকেট ই বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড ইস্যু করে থাকে।
অডিট রিপোর্ট ঃ
ব্যাংকে লোনের জন্যে আবেদনের ক্ষেত্রে এটাও একটা বাধ্যতামূলক বিষয়। যদি কোন প্রতিষ্ঠান কমপক্ষে তার বিগত ৩ থেকে ৫ বছরের অডিট রিপোর্ট আর যদি কোন নতুন প্রতিষ্ঠান হয় তার প্রজেক্ট ফিজিবিলিটি রিপোর্ট তৈরি করতে হয় এবং তা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। আপনারা জেনে অবাক হবেন একটা প্রতিষ্ঠান কয়েকটি অডিট রিপোর্ট তৈরি করে থাকেন, নিজের জন্যে, ট্যাক্স এর জন্যে এবং ব্যাংকের জন্যে। গলদটা কোথায় হচ্ছে আপনারা নিজেরাই খুজে বের করুন। গত কয়েক বছরে দশটা অডিট ফার্ম কে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। চিন্তা করুন দেখুন ভেজালে ভরা এত কিছুর মধ্যে ও তাদেরকে কালো তালিকভুক্ত করতে হলো । দুর্নিতির লেভেল টা নিয়ে একটু ভাবুন অবাক লাগার মত চলছিল সব কিছু।
ল্যান্ড সার্ভেয়ার রিপোর্টঃ
ব্যাংকে প্রতিটি স্যাঙ্কশন এ কোলেটারাল বা মর্টগেজ নামক একটা চ্যাপ্টার আছে যেখানে বিভিন্ন ল্যান্ড, সিকিউরিটিস, গ্যারান্টর মর্টগেজ হিসাবে উল্লেখ থাকে। সেখানে বিশেষভাবে ল্যান্ড টা উল্লেখ থাকে বেশী। এই ল্যান্ডটা ভ্যালুয়েশন করা হয় একজন সার্ভেয়ার দ্বারা যে ব্যাংক দ্বারা নিয়োগকৃত হয়ে থাকে। বুঝতেই পারছেন সম্পত্তির মূল্যে কিভাবে অনেক গুন বাড়িয়ে দেখানো হয়। ধরুন মিঃ মফিজ একজন একটা প্রতিষ্ঠানের মালিক, তবে সে কোন ব্যাংকের মালিক নয়, মফিজের ১০০ কোটি টাকার লোন দরকার, ব্যাংক এর ম্যানেজারের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক খাতির। বাকিটা খোলাসা করে আর বললাম না নিজেরা এই সম্পর্ক বিশেষভাবে বুঝে নিবেন কষ্ট করে। উনি সার্ভেয়ারকে বলে দিলো ১০০ কোটি টাকার লোন এর জন্যে মর্টগেজ হবে, একটা রিপোর্ট দিয়ে দেন। কয়েক দিন কিংবা কয়েক সপ্তাহ পর মিলে গেলো সার্ভে রিপোর্ট।
ক্রেডিট রেটিং রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের ব্যাংকের গাইড লাইন অনুযায়ী, ব্যাংকের ক্যাপিটালের টাইর লেভেল ঠিক রাখা এবং রিস্ক ওয়েট উপর ভিত্তি সঞ্চিতি কম রাখার জন্যে আরেকটা কাজ করতে হয়, সেটা একটা ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি দিয়ে ক্রেডিট এসেসম্যান্ট করে একটা রেটিং নেয়া এবং রিপোর্ট। আপনারা হয়তো লক্ষ্যে করলে দেখবেন এই রেটিং রিপোর্ট কখনো ব্যাংকের গ্রাহকের কিংবা বিনিয়োগকারিদের স্বার্থ রক্ষা করেনি, তারা রক্ষা করেছে যারা তাদের রেটিং ফি এর নামে টাকা দেয় তাদের স্বার্থ অর্থাৎ যে ঋণ নিবে তার এবং ব্যাংকের স্বার্থটা বেশী রক্ষা করে থাকে রেটিং কোম্পানিগুলো। অনেক সময় দেখবেন অতি মুল্যায়িত রেটিং দেয়া হয়ে থাকে, আমি নিজেই এর স্বাক্ষী। এক ক্লাইন্ট তিন লক্ষ টাকা দিয়েছে এই জন্যে তাকে AA+ রেটিং দেয়া হয়েছে। রেটিং ফি পাবেনা এই ভয়ে ডিফল্ট কোম্পানিকে ভালো রেটিং দিয়েছে এর ভুরি ভুরি উদহারন বাংলাদেশে। অনেক সময় এমন হয়েছে, ক্লাইন্টের ইচ্ছা মত এবং চাহিদা মত রেটিং দেয়া হয়েছে। এই রকম উদাহরন ভুরি ভুরি আছে। সাইনবোর্ড সবর্স্ব প্রতিষ্ঠানকে A বা A+ রেটিং দেয়া হয়েছে। রেটিং কোম্পানীর ওয়েব সাইটে এই রকম অনেক কোম্পানির নাম দেখতে পাবেন, যাদের কোন অস্তিত্বই নাই কিংবা খারাপ ক্লাইন্ট তাদেরকে ভালো ভালো রেটিং দেয়া হয়েছে।
ধরুন মফিজের কোম্পানিকে রেটিং কোম্পানি AA+ রেটিং দিয়ে দিলো, কে দেখে এইসব।
লোন আপ্রুভাল ফাইনাল স্টেজঃ
লোন আপ্রুভাল এর জন্যে এক্সিউটিভ কমিটিতে পুরো ফাইলটি সি আই বি (যে রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হয়) জমা দেয়া হয় এখানে সি আর এম ডিপার্টম্যান্ট নামে আরেকটা ডিপার্টম্যান্ট থাকে যাদের কাজ হচ্ছে, সব পেপার এর ভিত্তিতে নিজেরা আবার ফাইল টা খুটি নাটি বিষয় বিশ্লেষন করে, লোন পাওয়ার যোগ্য কিনা তার পর্যালোচনা করা এবং রিপোর্ট দেয়া এবং ফাইনালি এক্সিউটিভ কমিটির মিটিং এ উপস্থাপন করা। যদি এক্সিউটিভ কমিটির এক্সিউটিভরা অনুমোদন দেয় তাহলে ফাইনালি লোনটা পাশ হয় এবং পরবর্তি আরো কিছু কার্যক্রম সম্পাদনের লোন /ঋণ ডিসবার্স/টাকা ছাড় দেয়া হয়।
এখন মিঃ মফিজের কোম্পানির যা লোন তার কয়েকগুন বেশী ল্যান্ড মর্টগেজ আছে, তার অডিট রিপোর্ট খুব স্ট্রং এবং ক্রেডিট রেটিং রিপোর্ট ও সেই রকম ফাটাফাটি ওদিকে ট্রেড লাইসেন্সও আছে । তার লোন পাওয়া আর ঠেকায় কে? আর মফিজ যদি ব্যাংকের মালিক পক্ষ কিংবা মালিক পক্ষের কেউ হয় তাহলে আর কথায় নেই। এবার পাঠক মহোদয় আপনারা একবার ভাবুন তো এত এত প্রক্রিয়ার পর ও কিভাবে লোন/ঋণ ডিফল্ট হয়, ব্যাংকের টাকা লুটপাট হয়, কারা কারা মুলত এর জন্যে দায়ী । আমারতো মনে হয়, জনগণের টাকা আর্তসাত করার জন্যে পুরোই একটা সিন্ডিকেট যার সবাই কোন কোন ভাবে দায়ী। অর্থাৎ সংস্কার শুধু এক জায়গায় করলে হবে না সব চিহ্নিত জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন। জাতীর বৃহৎ স্বার্থে মূল জায়গা গুলোতে হাত দিন এবং যথাযথ সংস্কার করুন, দেশের ব্লাড অর্থনীতি এবং অর্থনীতির ব্লাড হলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ে কোন রাজনীতি চলেনা।
পাঠক আপনাদের সদয় মতামত জানাবেন।
No comments:
Post a Comment